রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী নগর ও উপকণ্ঠে মিলে সাতটি সিনেমা হল ছিল। আশির দশক থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ভালোই চলছিল এই সিনেমা হলগুলো। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০১০ সালের পর জেলায় একে একে বন্ধ হতে থাকে সিনেমা হল।সর্বশেষ ‘উপহার’ সিনেমা হলটি বন্ধ হয় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। এরপরই সিনেমা দেখা থেকে বঞ্চিত ছিলেন রাজশাহীবাসী। চাইলেও আর বড় পর্দায় বিনোদনের স্বাদ নিতে পারতেন না দর্শকরা। প্রায় দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর রাজশাহী সিনেমা হলের খরা কাটছে। ১২ ডিসেম্বর রাজশাহী হাইটেক পার্কে উদ্বোধন হচ্ছে একটি সিনেমা হল। বিখ্যাত স্টার সিনেপ্লেক্স এটি পরিচালনা করবে। তথ্য মতে, রাজশাহীতে হাইটেক পার্কের একটি অংশে স্টার সিনেপ্লেক্সের হল থাকবে। এতে থাকছে ১৭২টি আসন। এখানে সিনেমার পাশাপাশি আইটি কর্তৃপক্ষের ট্রেনিংয়ের কাজে ব্যবহার হবে। ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে হলটি নির্মাণ হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজশাহী বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক ফজলুর হক বলেন, রাজশাহী হাইটেক পার্কের একটি অংশ হিসেব এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে শুধুমাত্র সিনেমা দেখানো হবে এমনটি নয়। পাশাপাশি এখানে পার্কের সব প্রতিষ্ঠান তাদের প্রজেক্টের ট্রেনিং, অডিও ভিজুয়াল দেখাতে পারবে।তিনি আরও বলেন, এটি স্টার সিনেপ্লেক্স দেখভাল করবে। তাদরে আদলেই নির্মাণ করা হয়েছে। এটি তাদরে বিসিসি মডেলে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ দেবে। প্রকল্প পরিচালক বলেন, ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহী হাইটেক পার্কের বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম, জয় সিলিকট টাওয়ার ও রাজশাহী সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন। আমাদের পুরো প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি। আমাদের প্রজেক্টের এখন পর্যন্ত ৮৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ হতে আরও ছয়মাসের মতো সময় লাগতে পারে। স্টার সিনেপ্লেক্স মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ১২ ডিসেম্বর রাজশাহীতে স্টার সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। রাজশাহী হাইটেক পার্কেই নির্মিত সিনেপ্লেক্সে এ কার্যক্রম চলবে। এর আগে ঢাকার বাহিরে চট্টগ্রামে আমাদের শাখা আছে। এরপর রাজশাহীতে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স।
এদিকে রাজশাহীবাসীর সিনেমা দেখার যে অভাব তা সিনেপ্লেক্স কিছুটা পূরণ করতে পারবে বলে মনে করছেন রাজশাহীর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। তবে মূল দর্শকের চাহিদা পূরণে প্রেক্ষাগৃহ চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. মোজাম্মেলে হোসেন সাজ্জাদ বকুল বলেন, রাজশাহীবাসী একটি দীর্ঘ সময় হলে গিয়ে সিনেমা দেখা থেকে বঞ্চিত ছিল। রাজশাহীতে স্টার সিনেপ্লেক্স চালু হলে আমাদের জন্য বড় সুখবর। এটি আমাদের বহুদিনের চাওয়াকে পূরণ করবে। তবে রাজশাহীবাসীর আয়ের ওপর টিকিটের দাম নির্ধারণ করতে হবে। যাতে সাবই মিলে এর সুবিধা নিতে পারে।